জলবাহিত রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণ
![]() |
জলবাহিত রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণ |
✍️ কলম
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি, জলবাহিত রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করার কতকগুলি পদ্ধতি তথা জলবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার কতকগুলি ব্যবস্থাপনা। সুতরাং সময় অপচয় না করে আজকের নোটটি দেখে নিন।
জলবাহিত রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণ
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জল অন্যতম উপাদান। প্রতিদিন সমস্ত মানুষের জলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু পৃথিবীতে জলের উৎস সীমিত। পুকুর বা নদীর জল বিশুদ্ধ পানীয় জল নয়। নলকূপ বা ঢাকা দেওয়া কুয়োর জলকে বিশুদ্ধ বলা যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অথবা অজ্ঞতার কারণে দূষিত জলই পান করেন। জলবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে হবে –
ক) সমস্ত গ্রাম ও শহরে যথেষ্ট পরিমাণে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া যথেষ্ট সংখ্যক নলকূপ বসাতে হবে।
খ) জলকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশুদ্ধ করে ব্লিচিং পাউডার যুক্ত করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে।
গ) পানীয় জলকে দশ মিনিট ধরে ফুটন্ত অবস্থায় রেখে ঠাণ্ডা করে পান করলে কোনো জলবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। কারণ দশ মিনিট ধরে জল ফুটন্ত অবস্থায় থাকলে জলের জীবাণু মারা যায় এবং জল সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ হয়। অতিবেগুনি রশ্মির দ্বারা জলের জীবাণুকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা যায়।
ঘ) জলকে ফুটিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাষ্প থেকে জলে পরিণত করলে সেই জলকে পাতিত জল বলা হয়। পাতিত জল বিশুদ্ধ হলেও বিস্বাদ হওয়ায় পানের অযোগ্য।
ঙ) পুকুরের জল, কুয়োর জল পরিষ্কার রাখতে হবে। রোগীর জামা কাপড়, মল-মূত্র ইত্যাদি যাতে পুকুরের জলে পরিষ্কার করা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তা না হলে জলে বিভিন্ন রোগের জীবাণু মিশে যাবে। পুকুরের জলে যাতে মাছ না মরে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোনো কারণে মাছ মারা গেলে তৎক্ষণাৎ তুলে ফেলতে হবে। তা নাহলে জল দূষিত হয়ে যাবে। কুয়ো এবং পুকুরের জলে মাঝে মাঝে চুন দিতে হবে। তাহলে জলে জীবাণুর বংশবৃদ্ধি রোধ হবে।
No comments:
Post a Comment