স্নায়ুতন্ত্র : সংজ্ঞা | কাজ | উপাদান | শ্রেণিবিভাগ
![]() |
স্নায়ুতন্ত্র : সংজ্ঞা | কাজ | উপাদান | শ্রেণিবিভাগ |
Supriyo Bondhura,
আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি স্নায়ুতন্ত্রের সংজ্ঞা, স্নায়ুতন্ত্রের কাজ, উপাদান ও শেনিবিভাগ। নীচে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আছে, তাই দেরি না করে দেখে নিন -
স্নায়ুতন্ত্র
■ সংজ্ঞাঃ
যে তন্ত্রের মাধ্যমে প্রাণীরা বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে নিজ পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য ঘটায় এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গতন্ত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে।
■ স্নায়ুতন্ত্রের কাজঃ
ক. দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে যোগসাধন ও তাদের কাজের সমন্বয় ঘটানো।
খ. দেহের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ পরিবেশের উদ্দীপনা গ্রহণ।
গ. নির্দিষ্ট অঙ্গের মাধ্যমে উদ্দীপনার যথাযথ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা তথা নিজ নিজ পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য করা।
ঘ. বিভিন্নম পেশির সংকোচন ও বিভিন্ন গ্রন্থির ক্ষরণে সহায়তা করা।
■ স্নায়ুতন্ত্রের উপাদানঃ
ক. স্নায়ুকোষ
খ. নিউরোগ্লিয়া কোষ
গ. স্নায়ুগ্রন্থি
ঘ. সাইন্যাপস
ঙ. সংযোগী কলা উপাদান ফাইব্রোব্লাস্ট কোষ, রক্তনালি এবং বহিঃকোশীয় তরল।
■ স্নায়ুতন্ত্রের শ্রেণিবিভাগঃ
ক. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রঃ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড দ্বারা গঠিত যা বিভিন্ন উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং গৃহীত উদ্দীপনাকে বিশ্লেষণ মারফত উপযুক্ত স্থানে প্রতিক্রিয়া করে।
খ. প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রঃ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড থেকে উৎপন্ন স্নায়ুগুলি যে স্নায়ুতন্ত্র গঠন করে তাকে প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র বলে। মানুষের দেহে ক্রোনিয়াল নার্ভের সংখ্যা ১২ জোড়া এবং সুষুম্না স্নায়ুর সংখ্যা ৩১ জোড়া।
গ. স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রঃ দেহস্থ আন্তরযন্ত্র ও সংশ্লিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অনৈচ্ছিক ও স্বতঃস্ফূর্ত কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রিত হয় এই স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা। স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র দুইভাগে বিভক্ত – অ. সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র – বক্ষ-কটি দেশীয় বিভাগ, আ. প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র করোটি ত্রিকণাস্থি দেশীয় বিভাগ।
No comments:
Post a Comment