মাইটোকন্ড্রিয়া || মাইটোকন্ড্রিয়া কাকে বলে ? মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন ও কাজ
![]() |
মাইটোকন্ড্রিয়া |
✍️ কলম
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি, কোশের গঠন চ্যাপ্টারের একটি ভাগ হিসাবে মাইটোকন্ড্রিয়া সম্পর্কিত আলোচনা। যেটির মধ্যে মাইটোকন্ড্রিয়া কাকে বলে ? এবং মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন ও কাজ সুন্দরভাবে দেওয়া আছে। সুতরাং দেরি না করে আজকের নোটটি দেখে নিন।
মাইটোকন্ড্রিয়া
মাইটোকন্ড্রিয়াঃ
কোশের সাইটোপ্লাজমে দ্বিপর্দাবৃত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দণ্ডাকার কোশীয় অঙ্গাণু, আত্মপ্রজননশীল শ্বসনে সাহায্যকারী তাকে মাইটোকন্ড্রিয়া বলে।
গঠনঃ
ক. দুইটি একক পর্দা দ্বারা আবৃত, বাইরের পর্দাকে বহিঃপর্দা ও ভেতরের পর্দাকে অন্তঃপর্দা বলে।
খ. ম্যাটিক্সঃ অন্তঃপর্দা দ্বারা আবৃত ধাত্র।
গ. ক্রিস্টিঃ অন্তঃপর্দা ভেতরের দিকে অনিয়মিত ভাবে ভাঁজ সৃষ্টি করা আঙুলের ন্যায় প্রবর্ধকগুলিই হল ক্রিস্টি।
ঘ. F1 বস্তুঃ (ফার্নান্ডেজ – মোরান পার্টিকল/অক্সিজোম) ক্রিস্টির ওপর ধাত্রের দিকে টেনিস র্যাকেটের ন্যায় অসংখ্য বস্তু সমদূরত্বে অবস্থান করে, একে F1 বস্তু বলে। এই F1 বস্তু তিনটি অংশে বিভক্ত, যথা – base, stalk এবং head । এই head অংশে ATP সংশ্লেষণকারী উৎসেচক থাকে।
কাজঃ
শ্বসন, খাদ্যের জারণ এবং শক্তির বিপাকই হল মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ। মাইটোকন্ড্রিয়ায় জারণ ঘটে ক্রেবসচক্রের মাধ্যমে, ফলে ATP মুক্ত হয়। একারণে মাইটোকন্ড্রিয়াকে ‘Power house of cell’ বলে।
No comments:
Post a Comment