Breaking






Monday, May 31, 2021

সমাস

সমাস || সমাস কাকে বলে ? কত প্রকার ও কি কি ?

সমাস
সমাস

✍️ কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি, বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক সমাস এর বিস্তারিত আলোচনা। যেটির মধ্যে সমাস কাকে বলে ? কত প্রকার ও কি কি ? সেই সম্বন্ধে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করা আছে। সুতরাং দেরি না করে দেখে নিন। 

সমাস

সমাসঃ 
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদ একপদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে।  যেমনঃ সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।  সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপণ। 

সমস্তপদঃ সমস্যমান পদগুলো মিলে যে একটি পদ হয়, তাকে সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ বা সমাসনিষ্পন্ন পদ বলে। 

সমস্যমান পদঃ যে যে পদে সমাস হয় হয় তাকে সমস্যমান পদ বলে।  

ব্যাসবাক্যঃ যে বাক্যে সমস্যমান পদগুলোর পরস্পর সম্পর্ক নিরূপণ করে অথবা সমস্তপদকে ভাঙলে যে বাক্য পাওয়া যায়, তাকে ব্যাসবাক্য বা সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বলে। 

পূর্বপদ বা পরপদঃ সমাসবদ্ধ পদের প্রথমটি পূর্বপদ ও পরেরটি উত্তরপদ বা পরপদ।  যেমনঃ শোক দ্বারা আকুল = শোকাকুল।  এখানে শোক দ্বারা আকুল = ব্যাসবাক্য; শোক, আকুল = সমস্যমান পদ; শোকাকুল = সমস্তপদ; শোক = পূর্বপদ; আকুল = উত্তর বা পরপদ।  

সমাসের প্রকারভেদঃ সমাস প্রধানত ছয় প্রকার।  যথাঃ 
১. দ্বন্দ্ব সমাস,
২. কর্মধারয় সমাস,
৩. তৎপুরুষ সমাস,
৪. বহুব্রীহি সমাস,
৫. দ্বিগু সমাস,
৬. অব্যয়ীভাব সমাস। 
 
এছাড়াও প্রাদি সমাস, নিত্য সমাস, অলুক সমাস ইত্যাদি কয়েকটি অপ্রধান সমাস রয়েছে। 

বিভিন্ন সমাস চেনার উপায়ঃ

১. দ্বন্দ্ব সমাসঃ 
ক. উভয়পদ একই,
খ. উভয়পদে বিভক্তি থাকবে,
গ. উভয়পদে আলাদা আলাদা অর্থ বোঝালে। 

উদাহরণঃ মা ও বাবা 

২. কর্মধারয় সমাসঃ 
ক. দুটি বিশেষ্য পদে একই বস্তু বা ব্যক্তিকে বোঝাবে,
খ. কার্যে পরম্পরা বোঝাতে দুইটি কৃদন্ত বিশেষণ পদেও কর্মধারয় সমাস হয়,
গ. দুটি বিশেষণ পদে একটি বিশেষ্যকে বোঝালে কর্মধারয় সমাস হয়। 

উদাহরণঃ যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজসাহেব 

৩. তৎপুরুষ সমাসঃ 
ক. পূর্বপদে বিভক্তি লোপ পায়,
খ. পরপদের অর্থ পাধান্য। 

উদাহরণঃ পথ হতে ভ্রষ্ট = পথভ্রষ্ট 

৪. বহুব্রীহি সমাসঃ
ক. পূর্বপদ বা পরপদ কারোর অর্থই প্রাধান্য পায়না,
খ. উভয়পদ মিলে তৃতীয় বা অন্য কোন অর্থ বোঝায় 

উদাহরণঃ মন্দ ভাগ্য যার = মন্দভাগ্য 

৫. দ্বিগু সমাসঃ
ক. পূর্ববর্তী পদটি অবশ্যই সংখ্যাবাচক,
খ. পরপদ বিশেষ্য,
গ. পরপদের অর্থ পাধান্য।

উদাহরণঃ চার বস্তার সমাহার = চৌবস্তা 

৬. অব্যয়ীভাব সমাসঃ
ক. পূর্বপদে অব্যয় বা উপসর্গ থাকলে,
খ. ব্যাসবাক্যে যদি নীচের শব্দগুলো থাকে, তাহলে অব্যয়ীভাব সমাস হবে। 
সামীপ্য (উপ) – কণ্ঠের সমীপে = উপকণ্ঠে 
বীপ্সা (প্রতি, অনু) – দিন দিন = প্রতিদিন, ক্ষণ ক্ষণ = অনুক্ষণ 
অভাব (নিঃ, নির) – আমিষের অভাব = নিরামিষ
পর্যন্ত (আ) – পা থেকে মাথা পর্যন্ত = আপাদমস্তক 
সদৃশ (উপ) – জেলার সদৃশ = উপজেলা

No comments:

Post a Comment